মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ‘আমার স্বামী আমাকে ঘরে তুলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা করে আসছে। স্বামীর বাড়িতে আমাকে তুলে নেওয়ার দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। স্বামী যতদিন ঘরে তুলে না নেবে, আমি ততদিন এই বারান্দায় অবস্থান নিয়ে বসে থাকব।’- কথাগুলো নাজমা খাতুনের। তিনি মহেশপুরের জনৈক নজরুল ইসলামের মেয়ে।
নাজমা বলছেন, ‘পান্তাপাড়া ইউনিয়নের গাবতলাপাড়ার আবুল গাজির ছেলে হারুন গাজির সাথে আমার আট বছরের সম্পর্ক থাকার পর ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করে তিন বছর আগে। পরে আমাকে বাপের বাড়িতে পাঠিতে দেওয়ার পর সে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া কথা বললেই সে বিভিন্ন সময় টালবাহানা করতো। তাই আমি আর কোনো উপায় না পেয়ে গত শুক্রবার দুপুরে স্বামীর বাড়ির বারান্দায় উঠেছি।’
নাজমা খাতুনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েকে হারুন গাজি ঢাকায় নিয়ে বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। এখন আমার মেয়েকে ঘরে তুলে নিতে টালবাহানা শুরু করেছে। এমনকি যেদিন আমার মেয়ে হারুন গাজির বাড়িতে উঠেছে, সেদিনই হারুন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’
হারুন গাজির মা ফজিলাতুন্নেছা বলেন, ‘আমার ছেলে নাজমাকে বিয়ে করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। নাজমা বিয়ের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। তাহলে আমি কীভাবে নাজমাকে বৌমা বলে মেনে নেব? তবে সে আমার বাড়িতে উঠেছে। থাক। আমরা তার খাওয়া দাওয়া দিয়ে যাচ্ছি।’
পান্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। আমার ইউনিয়নের অনার্স শেষ বর্ষের এক ছাত্রী স্বামীর বাড়িতে তুলে নেওয়ার দাবি নিয়ে দীর্ঘ আটদিন অবস্থান করছে। এর বেশি আর আমার জানা নেই।’
মহেশপুর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) এস এম আমানউল্লা বলেন, ‘মেয়েটি থানায় অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’