স্টাফ রিপোর্টার : আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী শুরু হয়ে গেছে কালবৈশাখি। প্রথম দফায় যশোরে আজ সন্ধ্যা ছয়টা নয় মিনিট নাগাদ শুরু হয় ঘূর্ণি ও ধূলিঝড়। ধূলিঝড়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন বাইরে থাকা মানুষেরা। এমনিতেই লকডাউন শুরুর আগের দিন হওয়ায় রাস্তায় সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি বেশি ছিল।
যশোর বিমানবন্দরে অবস্থিত আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা ছয়টা নয় মিনিটে শুরু হওয়া ঝড়টি থেমে থেমে সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪০ নট’স অর্থাৎ প্রায় ৭৪ কিলোমিটার।
এসময় ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা শহর। আকস্মিক এ ঝড়ে পথচারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ফলে দ্রুত সবাই কাছাকাছি দোকানপাটে অবস্থান নেয়। অনেকে আবার ঝড়ের মধ্যেই গাড়ি চালিয়ে গন্তব্যে ছুটে যান। তবে এ ঝড়ে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া , গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ এবং কুষ্টিয়ায় ঝড় হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর আন্দামান সাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর আন্দামান সাগর ও মিয়ানমার উপকূলে অবস্থান করছে। এটি পরবর্তীতে আরো গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
এই লঘুচাপের প্রভাবে রংপুর, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হওয়ায় কমে এসে তাপ। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ৩৪ দশমিক ৯, ময়মনসিংহে ৩৪, চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ২, সিলেটে ৩৫, রাজশাহীতে ৩৮, রংপুরে ৩৪ দশমিক ৪, খুলনায় ৩৫ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।