কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে যৌতুকের দাবিতে সিক্তা খাতুন (২০) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সিক্তা খাতুনের শ্বশুর আইয়ুব হোসেনকে আটক করেছে। মামলা হয়েছে থানায়।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সিক্তা ওই গ্রামের রানা হোসেনের স্ত্রী ও পাশের কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার রাধানগর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
বাবা রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, দুই বছর আগে তার মেয়েকে রানার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুদের দাবিতে রানা ও তার পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। বিভিন্ন সময় জামাইয়ের দাবি মেটাতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক লাখ টাকাও দেওয়া হয় জামাইকে। মঙ্গলবার রাতে যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে নির্যাতন করে রানা ও তার মা-বাবা। তাদের নির্যাতনে সিক্তা মারা গেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে বাড়ির লোকজন। এরপর ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রচার করে।
প্রতিবেশীরা জানান, প্রায়ই পরিবরের সদস্যরা সিক্তাকে নির্যাতন করতো। ঘটনার দিনও নির্যাতন করা হয়।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ‘নিহতের’ বাবা মামলা করলে রানার বাবা আইয়ুব আলীকে বুধবার ভোরেই আটক করা হয়। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
আর সিক্তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।